বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
Logo
শিরোনাম
নবাগত ওসির সাথে ডোমার প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ ডোমারে পেশাজীবী সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত ডোমার’ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরন দেবীগঞ্জের বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের কর্মকর্তার কক্ষ থেকে টাকা ও নথি চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে সম্পত্তি না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে লাশ দাফনে বাঁধা দিলো ছেলে ডোমারে সমবায়ীদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত আলোকিত ডোমার সংগঠনের কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমার সাংস্কৃতিক সংসদ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে ‘আই লাভ ডোমার’ স্থাপনার শুভ উদ্বোধন ডোমারে সমাপ্ত হলো অষ্টম কাব ক্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশ

[wtn_news layout='list' desxeiption=hide]

ইসলামী দৃষ্টিতে বিতর্কে করণীয়-বর্জনীয়

প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২

বিতর্ক ও ঝগড়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মুমিনের ইসলামী জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান অন্বেষণ ও গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করে এবং বিতর্ক ও ঝগড়া করতে নিষেধ করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগের দিকে তাকালে আমরা দেখি যে, ছাহাবী-তাবেঈগণের যুগে কখনোই তাঁরা পরস্পরে শারঈ বিষয়ে নিজের মতকেই সঠিক সাব্যস্ত করতে বিতর্কে লিপ্ত হননি। বিভিন্ন সময়ে মতভেদের ক্ষেত্রে পরস্পরে একে অপরের দলীল জানার চেষ্টা করেছেন বা নিজের দলীলটি ব্যাখ্যা করেছেন। অবশেষে আববাসীয় যুগে মু‘তাযিলীগণের প্রাদুর্ভাবের মাধ্যমেই ধর্মীয় বাহাছ বা বিতর্কের প্রসার ঘটতে শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে এটি ছিল মু‘তাযিলী ও অন্যান্য বিদ‘আতী ফিরক্বার মূল কাজ। ক্রমান্বয়ে তা মূলধারার মুসলিমদের মধ্যেও প্রবেশ করে। নিম্নে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে বিতর্কের ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হ’ল।

আরো পড়ুন:>> ইবরাহীমী যুগে বিতর্ক !>>

এক. আপনি যা করতে পারেন তা হলো বিতর্ক এড়ানো। যখন এটি মূল্যহীন এবং শত্রুতার দিকে নিয়ে যেতে পারে তখন তর্ক করা থেকে দূরে থাকার জন্য আপনি যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।

তিনটি কাজের ফলে আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দার জন্য জান্নাতের তিনটি স্তরে ঘর নির্মাণ করেন। এ তিনটি কাজের একটি হলো যারা সত্য বিষয়ে বিতর্ক পরিহার করে। হাদিসে এসেছে-

হজরত মুআজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের পাশ্বদেশে, জান্নাতের মধ্যভাগে এবং জান্নাতের উপরিভাগে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে। যে ব্যক্তি সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্বেও তর্ক পরিহার করে, উপহাসস্বরূপ হলেও মিথ্যা কথা বর্জন করে, আর নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে। (মুসনাদে বাযযার, তারগিব)

দুই. আপনি যা করেছেন তা অন্যদের দেখানো বা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আপনার ভালো কাজগুলোকে নষ্ট করবেন না। সর্বশক্তিমানের সন্তোষের জন্য আন্তরিকভাবে ভালো কাজ করুন; কৃপণ হওয়া বা এটি আপনার সম্পদ হ্রাস করবে এমন ভয় না করে এটি করুন। আর কোনো দাতব্য কাজকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না, তা যতই ছোট হোক না কেন।

মুমিনদের বিতর্কে জড়ানো : তর্ক-বিতর্ক বা ঝগড়ায় উভয়পক্ষই নিজের জ্ঞানকে চূড়ান্ত বলে মনে করেন এবং যে কোনভাবে নিজের মতের যথার্থতা ও অন্য মতের ভুল প্রমাণ করতে চেষ্টা করেন। নিজের জ্ঞানের ভুল স্বীকার করাকে ব্যক্তিগত পরাজয় বলে মনে করেন। এ কারণে ইসলামে ঝগড়া-তর্ক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিজের মত বাতিল হওয়ার কারণে যে ব্যক্তি বিতর্ক পরিত্যাগ করে তার জন্য জান্নাতের পাদদেশে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হবে। আর যে ব্যক্তি নিজের মত সঠিক হওয়া সত্ত্বেও বিতর্ক পরিত্যাগ করে তার জন্য জান্নাতের মধ্যবর্তী স্থানে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হবে। আর যার চরিত্র সুন্দর তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হবে’


অন্যান্য সংবাদ
Theme Created By ThemesDealer.Com