শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
Logo
শিরোনাম
নবাগত ওসির সাথে ডোমার প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ ডোমারে পেশাজীবী সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত ডোমার’ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরন দেবীগঞ্জের বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের কর্মকর্তার কক্ষ থেকে টাকা ও নথি চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে সম্পত্তি না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে লাশ দাফনে বাঁধা দিলো ছেলে ডোমারে সমবায়ীদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত আলোকিত ডোমার সংগঠনের কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমার সাংস্কৃতিক সংসদ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে ‘আই লাভ ডোমার’ স্থাপনার শুভ উদ্বোধন ডোমারে সমাপ্ত হলো অষ্টম কাব ক্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশ

[wtn_news layout='list' desxeiption=hide]

দেবীগঞ্জের বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের কর্মকর্তার কক্ষ থেকে টাকা ও নথি চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

 

দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) থেকেঃ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের দেবীগঞ্জ অফিসের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে টাকা সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির অভিযোগ উঠেছে। এরপর তদন্ত জন্য ০৫ সদস্যের কমিটির গঠন হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির কাজ নিয়ে নানান বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, চুরির টাকাটি গত ১৭ই জানুয়ারি অফিসের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ.কে.এম খোরশেদুজ্জামান কক্ষ থেকে চুরি হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ঘটনাটি চাপা থাকলেও কর্মকর্তার বদলী হবার খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে আবারো আলোচনা শুরু হতে থাকে। অফিস জানায়, ওই কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ অফিস থেকে রংপুর বুড়িরহাট অফিসে বদলী হয়েছেন।

চুরির এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের পছন্দের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দিয়ে মৌখিকভাবে ০৫ সদস্য গঠন করেন কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোসাদ্দিকুর রহমান রাহি,  ভিগুরাম বর্মণ, বৈজ্ঞানিক সহকারী মোসাদ্দেকুর রহমান ও অফিস সহকারী গোলাম রাব্বানি।

তদন্তের সময়সীমা ০৫ দিন নির্ধারন করা থাকলেও সঙ্গত কারন দেখিয়ে দেড় মাস সময় নিয়েছেন তদন্তকারী দল। তবে নথি ও টাকা চুরির বিষয়ে তদন্ত শুরু হলেও কি নথি ও কত টাকা হারিয়েছে এ বিষয়ে জানেন না তদন্ত কমিটির সদস্যগণ। সংবাদকর্মীরা তদন্ত কমিটি ও তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের কাগজপত্র চাইলে সেই কাগজ না দেখিয়ে গোঁজামিলের আশ্রয় নেন কর্তৃপক্ষ।

তদন্তের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তাদ্দিকুর রহমান রাহি টাকা ও নথি চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কত টাকা চুরি হয়েছে বা কি নথিপত্র চুরি হয়েছে সেটি স্যার আমাদের অবগত করেনি। এ অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধীক কর্মচারী জানান, ঘটনার কয়েকমাস আগে থেকে অফিসের সিসি ক্যামেরা নষ্ট ছিলো। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো যে কক্ষে চুরি হয়েছিলো সে কক্ষের দরজার তালা সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ছিলো। এ সময় অফিসের ড্রয়ার ও আলমারির তালা খুলা ছিলো। আসল ঘটনাকে চাপা দিতে চুরির নাটক সাজানো হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

তৎকালীন দ্বায়ীত্বে থাকা হিসেব রক্ষক আজাহারুল ইসলাম জানান, অফিসের নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক সংশ্লিষ্ট হিসাব অফিসের হিসেব রক্ষকের কাছে থাকার কথা থাকলেও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খোরশেদুজ্জামান অফিসিয়াল কাজে ব্যয়ের কথা বলে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নেন।

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ.কে.এম খোরশেদুজ্জামান জানান, চুরির বিষয়ে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। দোষ যিনিই করুক না কেন আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।

সদ্য দ্বায়ীত্বপ্রাপ্ত মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস জানান, কক্ষের ভিতরের অবস্থা দেখে কোনো ভাবে মনে হয়নি যে বাইরের কেউ ঢুকে চুরি করেছে। কারন সেসময় কর্মকর্তা কক্ষের কাজ শেষে বের হবার পর ওই কক্ষ তালাবন্ধ ছিলো। এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ বা মামলা করতে নির্দেশ না দেয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

এদিকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার জানান, এই বিষয়ে ইতিপূর্বে কেউ আমাদের অবগত করেনি।

 


অন্যান্য সংবাদ
Theme Created By ThemesDealer.Com