ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (১ আগষ্ট) দুপুর দু্ইটার পর থেকে তিস্তার পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিনটায় বিপৎসীমার ১০ সে.মি. উপরে ও সন্ধা ৬টায় বিপৎসীমার ২৫ সে.মি. উপরে প্রবাহিত ।
নীলফামারী ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী গ্রামের তিস্তা বাঁধ(বালু বাঁধ) ভেঙ্গে দুটি ওয়ার্ড পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিচু ভূমিগুলো ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পূর্ব খড়িবাড়ী, কিছামত ছাতনাই, ছোটখাতা, হরিশের চরসহ ৮ ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ড, শোলমারী, ভাবনচুড়ের কয়েটি চর পান বন্দি হয়েছে।
চরখড়িবাড়ী গ্রামের বাংলাপাড়ার রিয়াজুল নামের একজন জানান, হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। আমাদের বালু বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় চারটি গ্রামের ১৫০ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছি। পানি না থাকার কারণে কয়েক দিন আগে ধান রোপন করলাম। বন্যা এসে ধান গাছ বালুতে তলিয়ে দিয়ে গেল। এতে করে এলাকার কৃষক চাষাবাদ নিয়েও দুশচিন্তায় রয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে ব্যারেজ গেট কিপার নুরুল ইসলাম জানান, দুপুর ২ টার পর থেকে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়ে ৩টায় ছিল ৫২.৭০ সে.মি. যা বিপদসীমার ১০ সে.মি উপরে প্রবাহিত হয়েছিল সন্ধ্যা ৬টায় ৫২.৮৫ সে.মি.যা বিপদসীমা ২৫ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, শুরুতে তীব্র পাহাড়ি ঢলের ধাক্কায় বালুবাঁধটি ২০০-২৫০ মিটার ভেঙে গিয়েছে। ধীরে ধীরে পানির তোড়ে বাঁধটি আরও ভাঙতে থাকে। এ অবস্থায় তিস্তা ঠিক পাশেই অবস্থিত চরখড়িবাড়ী ও পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা প্রচুর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। এ দুটি গ্রাম বেশি প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের সবকয়টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।