শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
Logo
শিরোনাম
নবাগত ওসির সাথে ডোমার প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ ডোমারে পেশাজীবী সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত ডোমার’ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরন দেবীগঞ্জের বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের কর্মকর্তার কক্ষ থেকে টাকা ও নথি চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে সম্পত্তি না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে লাশ দাফনে বাঁধা দিলো ছেলে ডোমারে সমবায়ীদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত আলোকিত ডোমার সংগঠনের কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমার সাংস্কৃতিক সংসদ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে ‘আই লাভ ডোমার’ স্থাপনার শুভ উদ্বোধন ডোমারে সমাপ্ত হলো অষ্টম কাব ক্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশ

[wtn_news layout='list' desxeiption=hide]

ছাগল পালন করে রানার ভাগ্যের পরিবর্তন

প্রকাশিত: শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তার নদীর চরে দেশি-বিদেশি জাতের ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আব্দুর রহিম রানা। গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি খামার।

১৯৯৬ সালে বন্যায় বাপ-দাদার জমি-জমা হারিয়ে নিঃশ্ব হয়ে পড়েন। অভাব ও অসচ্ছলতা থাকার কারণে আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন নি আব্দুর রহিম রানা। শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো দশম শ্রেনী পর্যন্ত।

ভাগ্যের চাকা ঘোড়াতে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় খুজতে থাকেন কর্মসংস্থান। সুবিধা জনক কর্মসংস্থান না পাওয়ায় ২০১৯ সালের শেষ দিকে নিজের বাড়িতে ছাগল পালন শুরু করেন। প্রথম দিকে  আটটি ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ জাতের ছাগল কিনে বাড়িতে পালন শুরু করেন। এর এক বছর পর চারটি ছাগল থেকে তিনি লাভ পেতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বড় পরিসরে একটি খামার করার চিন্তা করেন।

এরপর তিনি ভারত থেকে হরিয়ানা, তোতাপারি, যমুনাপারি জাতের বিদেশি ছাগল কিনে আনেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এক সময়ের শিক্ষিত বেকার যুবক মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়ে ওঠেন একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে তার খামারে ব্ল্যাক বেঙ্গল, হরিয়ানা, তোতাপারি, যমুনাপারি জাতের প্রায় ৪০টি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগল পরিচর্যায় অন্যান্য সদস্যরাও।

আব্দুর রহিম রানা জানান, ৯৬ সালে তখন আমি সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি বন্যার পরেও কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়েছি সংসারে অভাব- অনাটন নেমে আসায় আর চালিয়ে যেতে পারিনি লেখাপাড়া। দশম শ্রেনীতে সমাপ্তি টানতে হয় লেখাপড়ার। নিজে উদ্যেগ গ্রহন করে ৮টি ছাগলের বাচ্চা ক্রয় করি। প্রতিদিন ছাগলগুলোর জন্য বিভিন্ন যায়গা থেকে কাঠঁলের পাতা সংগ্রহ করতাম।। বিদেশি জাতের এই ছাগলগুলো প্রতি বছর দুই বার বাচ্চা দেয়।

নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী বলেন, আব্দুর রহিম রানা এক সময় আমার কাছে বিদেশি জাতের ছাগল পালনের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে আসছিলেন।


অন্যান্য সংবাদ
Theme Created By ThemesDealer.Com